ঢাকা , মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫ , ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়নামতি সাহেবের বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা!


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-১১ ২১:০৭:০৯
ময়নামতি সাহেবের বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা! ময়নামতি সাহেবের বাজারে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পিরানহা!

মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং প্রতিনিধি।

পিরানহা একটি রাক্ষুসে মাছ, পরিবেশের জন্য হুমকী স্বরূপ। তাই এটি বাংলণাদেশে চাষের জন্য নিষিদ্ধ। তবে এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেবের বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে পিরানহা।

মাছের আকার ভেদে বড় সাইজ ২৫০ টাকা এবং মাঝারি আকারের মাছ ২১০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি করছে মাছ ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতাদেও কাছে এসব পিরানহার পরিচয় দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ রূপচাঁদা নামে। দীর্ঘদিন ধরে এটা বিক্রি হয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। 

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ময়নামতির সাহেবের বাজার। বাজারটি এক সময় সপ্তাহে দু’দিন বসলেও বর্তমানে প্রতিদিনই সকাল থেকে বাজারটি শত শত ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড়ে সরগরম হয়ে উঠে। সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় তরিতরকারি ও অন্যান্য পণ্যের সাথে প্রচুর পরিমানে মাছের আমদানী হয় বাজারটিতে। মাছের ব্যবসায়ীরা রুই, কাতল, মৃগেল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ অন্যান্য মাছের সাথে সামুদ্রিক মাছ রূপচাদা’র পরিচয়ে  প্রচুর পরিমানে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছও বাজারজাত করছেকিছু অসাদূ বিক্রেতা। ক্রেতারাও প্রতিদিন  সামুদ্রিক মাছ মনে করে দেদারছে  কিনে প্রতারিত হচ্ছে। প্রতিদিন এই বাজারটিতে কমপক্ষে ৩/৪ মনের অধিক পিরানহা মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে বাজার সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়। বাজারে কথা হয় পিরানহা মাছ বিক্রেতার সাথে এই প্রতিবেদকের।

এসময় বিক্রেতাকে নিষিদ্ধ পিরানহার কথা বললে সে জানায়, মানুষ এই মাছের চাষ করে। কখনো পাশ্ববর্তী আড়ৎ থেকেও কিনে এনে সেগুলো বিক্রি করছি। এসময় সে আরো বলে, ময়নামতি এলাকার বেশ কিছুপুকুরেও বছরের পর বছর ধরে পিরানহার চাষ হচ্ছে।

এছাড়া পাশ্ববর্তী একই উপজেলার কংশনগর বাজারের পাইকারদের কাছ থেকেও কিনে এনে বিক্রির কথা বলেন। দায়িত্বশীল একটি সুত্র মতে সরকার পিরানহা মাছটিকে রাক্ষুসী আখ্যায়িত করে ২০০৮ সালেই এটি সারাদেশে চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন বংশ বৃদ্ধি, বাজারজাত করণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছিল।

এই মাছটি দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধিও জন্য হুমকীস্বরূপ। এদের প্রভাবে দেশী মাছের সংখ্যা কমে যেতে পারে। এই মাছটি মানুষের জন্যও বিপদজনক। বিভিন্ন রোগ ছড়াতেও এই মাছটির ভূমিকা রয়েছে। তবুও কিছু অসাদূ চক্র সামুদ্রিক মাছ রুপ চাঁদা পরিচয়ে বাজারটিতে প্রতিদিন এই নিষিদ্ধ মাছ অবাধে বিক্রি করছেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর হোসেন বলেন, এটা নিষিদ্ধ মাছ। আমরা অচিরেই অভিযান পরিচালনা করবো।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ